সর্বশেষ আপটেড

‘বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে বেশি প্রয়ােজন নিজের প্রচেষ্টা’- উপরের বিষয়ে বিতর্কের একটি পক্ষের ও একটি বিপক্ষের স্ক্রীপ্ট লিখ

আজ আলোচনা করবো ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৪তম সপ্তাহের হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর- ‘বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে বেশি প্রয়ােজন নিজের প্রচেষ্টা’- উপরের বিষয়ে বিতর্কের একটি পক্ষের ও একটি বিপক্ষের স্ক্রীপ্ট লিখ। ধৈর্য্যসহকারে পুরো পোস্টটি পড়ুন।

৬ষ্ঠ শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট

৬ষ্ঠ শ্রেণি ১৪তম সপ্তাহের হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট

অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ :

‘বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে বেশি প্রয়ােজন নিজের প্রচেষ্টা উপরের বিষয়ে বিতর্কের একটি পক্ষের ও একটি বিপক্ষের স্ক্রীপ্ট লিখ।

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি) :

বিতর্কের নিয়ম জেনে পক্ষের ও বিপক্ষের দুটি লেখা তৈরী কর।

৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৪তম সপ্তাহের হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর

পক্ষ-১

বিদ্যা মানুষের অমূল্য ধন। বিদ্যা অর্জনের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে এবং প্রকৃতি সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে পারে। এক্ষেত্রে বিদ্যার জ্ঞান অনেক উপকারে আসে যা আমাদের জীবনকে সুন্দর করে।প্রকৃতপক্ষে আমরা যে পূজার্চনা করি তাতে আমাদের হৃদয় শুদ্ধ হলেও আমাদের নিজেদের প্রচেষ্টা না থাকলে বিদ্যা অর্জন করা সম্ভব নয় ।

বিপক্ষ-১

পূজা আমাদের মনকে শান্ত ও বিকশিত করে। নিজের এবং ঈশ্বরের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে জ্ঞানের গতিকে বাডিয়ে তুলে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মাধ্যমে।প্রকৃতপক্ষে পক্ষ দল যা বলেছেন তার বিপরীতে বলতে হয় পূজা যেহেতু মনকে পরিশুদ্ধ করে তাই প্রচেষ্টার চাইতেও পূজা আমাদের কে প্রচেষ্টার আগে যে সুন্দর পরিস্থিতি তৈরি করে সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

পক্ষ-২

বর্তমান পরিস্থিতি দেখা যায় মানুষ অধিক ধর্মপ্রান কিংবা ধর্মের প্রতি অতিরিক্ত আনুগত্য বা কুসংস্কারচ্ছন্ন হয়ে বিদ্যা অর্জনের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে বা নিজেই বিদ্যার্জন অনেক দুরে সরে যায় অর্থাৎ প্রকৃতজ্ঞান অর্জন করা তার পক্ষে সম্ভব হয় না এক্ষেত্রে ধর্মও তার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে যদি সে নিজ প্রচেষ্টায় বিদ্যা অর্জন করে ধর্মকে বুঝতে না চেষ্টা করে তাহলে সে প্রকৃত বিদ্যা অর্জন করতে সক্ষম হবে না।এক কথায় বলা যায় বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে বেশি প্রয়োজন নিজের প্রচেষ্টা কারন পূজা কেবল ঈশ্বরকে ডাকা হয় মনের প্রশান্তির জন্য কিন্তু শুধুমাত্র প্রশান্তি দিয়ে বিদ্যা অর্জন হয় না।

বিপক্ষ-২

পক্ষ দল হয়তো ভুলে গেছে মনের উপর সব কিছুই নির্ভরশীল।এক কথায় বলা যায় মানুষের মন আছে বলেই সে জ্ঞান অর্জনের পথে এগিয়ে যায়।তার এই পথকে আরো সুগম করে ঈশ্বরের প্রতি আরাধনা ও পূজা – অর্চনা যা আমাদের মনকে স্নিগ্ধ ও জ্ঞান আহরণের উপযোগী করে। কারন আমরা জানি জ্ঞান আহরণ বা যেকোনো পাত্রে পানি ঢালার ক্ষেত্রে পাত্রটি যদি ছিদ্রযুক্ত হয় তাহলে তাতে পানি ধারন করা যায় না ঠিক জ্ঞান আহরণ ক্ষেত্রে মনকে ছিদ্র মুক্ত করতে হয় পূজা -অর্চনা এর মাধ্যমে। তাই আমি বলবো বিদ্যা অর্জন নিজ প্রচেষ্টার চাইতেও পূজার্চনার বেশ গুরুত্ব রয়েছে।

পক্ষ-৩

একথা অস্বীকার করি না যা বিপক্ষ দল বলেছে যে পূজা-অর্চনা মনকে স্নিগ্ধ শান্ত করে কিন্তু শুধুমাত্র শান্ত মন দিয়ে জ্ঞান আহরন করা যাবে এটার নিশ্চয়তা নেই। একজন প্রচেষ্টাহীন ব্যক্তি কখনো কোনো কিছুতে সফল হয় না।অথাৎ বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে একজন মানুষের নিজ প্রচেষ্টা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

বিপক্ষ-৩

পক্ষ দলের কথায় আমি একমত যে নিজ প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এই বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ একমত নয় কারন যার ধর্মজ্ঞান নেই সে নীতিহীন ব্যক্তিতে পরিনত হয়।তার ধর্মজ্ঞান একমাত্র তাকে সামনে এগিয়ে নিতে সমাজকে সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালিত করতে এবং নিজের জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে কারন অতীতে ধর্মগ্রন্থ তৈরী হয়েছে মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত করে জ্ঞান অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সমাজকে দেশকে সুচিন্তিত করার জন্য তাই আমি বলবো বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার গুরুত্ব অনেকাংশেই বেশি যা আমাদের প্রাচীন গুরুদের গুরু শালাই দেখতে পায়।

এই ছিল তোমাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ১৪তম সপ্তাহের হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর- ‘বিদ্যা অর্জনের জন্য পূজার চেয়ে বেশি প্রয়ােজন নিজের প্রচেষ্টা’- উপরের বিষয়ে বিতর্কের একটি পক্ষের ও একটি বিপক্ষের স্ক্রীপ্ট লিখ।

আরো দেখুন-

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন। ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন। আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ